মাদরাসার নামঃ দিঘীরপাড় মোহাম্মাদীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা,
মাদরাসার ঠিকানাঃ গ্রাম-পুরা,পোঃ পুরা, উপজেলাঃ টঙ্গীবাড়ি,জেলাঃ মুন্সীগঞ্জ,
প্রতিষ্ঠাতার নামঃ হযরত মাওলানা আঃ রহমান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ওরেফে নওয়াব আলী মাওলানা,
প্রতিষ্ঠাকালঃ ০১-০১-১৯৪৬ ইং।
মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টঙ্গীবাড়ী উপজেলার প্রানকেন্দ্র দিঘীরপাড় ইউনিয়নে দিঘীরপাড় মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া মাদরাসা নামে একটি ধর্মীয় ক্ষিাপ্রতিষ্ঠান ১৯৪৬ ইং সনে অত্র এলাকায় সুনামধন্য আলেমে দ্বীন হযরত মাওলানা আঃ রহমান (রহঃ) ওরেফে নোয়াব আলী মাওলানা দ্বীন শিক্ষা সম্প্রসারনের জন্য স্থাপন করেন। উক্ত মাদ্রাসাটি সুনামের সহিত তিনি সুচারুরুপে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে পরিচালনা করেন। তিনি জনগনের সার্বিক সহযোদিতায় ০১-০১-১৯৪৬ ইং সন থেকে ১১-০৮-১৯৮৩ ইং পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান (মোহতামিত) এর দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মাদ্রাসাটি মক্তব থেকে শুরু করে দরসে নেজামী জামাতে মেশকাত পর্যন্ত অত্যন্ত সুচারু ভাবে পরিচালনা করেন। মাদ্রাসা শ্রেনী পাঠের পাশা-পাশি এলাকায় মানুষ তথা পথ ভুলা মানুষকে সাঠিক পথে সন্ধান দেওয়ার জন্য এলাকা এলাকায় দ্বীনের দাওয়াত দিতেন। তিনি আজীবন মাদ্রাসা মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। আল্লাহপাক তাকে যেন জান্নাতুল ফেরদাউসের উচু মাকাম দান করেন। তার ইন্তেকালের পর ১২-০৮-১৯৮৩ ইং তারিখ থেকে অত্র মাদ্রারাসার মুহতামিমের (প্রতিষ্ঠান প্রধান) দায়িত্ব দেয়ো হয় হযরত মাওলানা মোঃ ওসমান গনি সাহেবকে। তিন ৩১-১২-১৯৮৯ ইং পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান (মুহতামিম) এর দায়িত্ব পালন করেন। তিন অত্র প্রতিষ্ঠানের যথেষ্ঠ খেদমত করেন। মাদ্রাসা অবকাঠামো সম্প্রসারন করেন। তিনি অসুস্থ হওয়ার কারনে মোহতামমের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
অতঃপর ০১-০১-১৯৯০ ইং তারিখ থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান এর দায়িত্ব দেওয়া হয় হযরত মাওলানা মোঃ আবু বকর ছদ্দিককে। তিনি মাদ্রাসার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাদ্রারাসাটি কে আলীয়া নেচাবে রুপদেন যাহার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসাটি নামকরন করা হয় “দিঘীরপাড় মোহাম্মদীয়অ ইসলামিয়া দাখেল মাদ্রাস”। তিনি ০১-০১-১৯৯১ ইং তারিখ থেকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর প্রধানের অনুমতি আনেন এবং তাকে সুপার পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এইভাবে করে মাদ্রাসাটি সুনামের সহেত চলতে থাকে। সুপার সাহেবের অন্য মাদ্রাসায় চাকুরী হওয়ার কারনে তিনি ০৪-০৩-১৯৯৫ ইং তারিখে পদত্যাগ করেন। যাহার প্রেক্ষিতে ০৫-০৩-১৯৯৫ ইং তারিখ থেকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেয়া হয়। অত্র মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি জনাব মাওঃ আঃ ছামাদ সাহেবকে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর মাদ্রাসাটি নদী ভাঙ্গার কবেল পড়ে। যাহার কারনে দিধরপাড় বাজারের পার্শ্বে অতিকষ্টে ক্লাশ পরিচালনা সহ মাদ্রাসা কার্যক্রম করা হয় এবং মাদ্রাসা বিভিন্ন জায়গা দেখার পর পুরা শিবির সংলগ্ন মাদ্রাসার জায়দা নেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত সুপার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড,ঢাকা খেকে দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি আনেন এবং সর্বপ্রথম ১৯৯৬ ইং সনে প্রথম দাখিল পরীক্ষা দেওয়ান। পাশের হার ১০০% হয়। অতঃপর সুপার নিয়োগ পক্রীয়া হলে ১৬-০১-১৯৯৬ ইং তারিখ থেকে মাওঃ আঃ ছামাদকে দিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা আবেদন করেন। ০১-০১-১৯৯৭ ইং তারিখ থেকে প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। পর পর ৩ বছর পরীক্ষা দেওয়ার পর সুপার সাহেব ১৯৯৮ ইং সনে এম.পি.ও ভুক্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় আবেদন করেন। অত্র মাদ্রাসার সুপার, জনাব মোওলানা আঃ ছামাদ, সাহেব এবং তৎকলীন মাদ্রাসা সেক্রেটারী মরহুম মোঃ ফেরদৌস হালদার এর যৌথ প্রচেষ্ঠায় ০১-০৪-১৯৯৯ ইং তারিখ থেকে মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত হয়।
জমীদানঃ প্রতিষ্ঠান করার জন্য মাদ্রাসার নামে জমী দান করেন মরহুম মোঃ ইসমাইল স্যারের এর ছেলেরা মরহুম শামসুল হক স্যারের গং। বর্তমানে মাদ্রাসাটি যেখানে অবস্থিত এইজমী দান করেন জনাব মরহুম জগলু হালদার (ভুতু) সাহেব।
মাদ্রাসার অবকাঠামো গঠনঃ প্রাথমিকভাবে শ্রেনী কক্ষ করার জন্য একটি টিনসেট ঘর নির্মান করা হয়। যাহার দৈর্ঘ্য ৬০ ফিট এবং প্রস্থ ২২ ফিট। পরবর্তীতে মাদ্রাসার জন্য একটি ভবন তৈরি করেন জনাব মরহুম মোঃ ফারুক জামান (বাবুল) সাহেব। প্রথম নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়লে সবকিছু নদী গর্ভে পরে যায়। পরবর্তীতে দিঘীরপাড় কান্তার বাড়ী বরাবর দিঘীরপাড় বাজার সংলগ্ন মরহুম সামসুল হক সাবেং গং জমীদান করেন। সেখানে টিন সেট এলসাইজ ধর নির্মান করেন। দ্বিতীয় বার মাদ্রাসা আবার নদী গর্ভে চলে গেলে। মাদ্রাসাটি যশলং ইউনিয়নের পুরা গ্রামে পুরুয়অ মৌজায় মরহুম মোঃ জগলূল হালদার ভুতু সাহেব জায়গায় মাদ্রাসাটি তৎকালীন মাদ্রাসা সেক্রেটারী জনাব মোঃ লুৎফর রহমান শেক সাহেবের সঠিক সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাদ্রাসার সুপার জনাব আঃ ছামাদ সাহেবের প্রচেষ্ঠায় মাদ্রাসাটি ১৯৯৬ ইং সনে স্থানান্তরিত করা হয়। এই বছরই পুরাতন একটি টিনসেট নির্মান করা হয় এবং সরকারি একটি ভবন যাহার দৈর্ঘ্য ৭৬‘*২৯‘ নির্মান করা হয়। এর পর ২০০৩ ইং সনে সরকারি আরেকটি ভবন নিম্যান করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ১০০‘*৩৩‘ চার তলা ফাউন্ডেশনে একতলা ভবন নির্মান করা হয়।
কমিটি গঠনঃ প্রাথমিকভাবে স্থানীয় লোকদের নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকা কর্তৃক প্রথম অরগানাইজিং কমিটি করা হয়। উক্ত কমীটির য়োদকাল ২৭-০৭-১৯৯১ ইং থেকে ১৯-০৭-১৯৯২ ইং পর্যন্ত ১ বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, টংঙ্গীবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ। জনাব জি.এম ফারুকুজ্জামান সহ-সভাপতি, জনাব নুর মাহাম্মদ মোল্লা – সাম্পাদক, জনাব মোঃ লুৎফুর রহমান শেখ- সদস্য। আলহাজ্ব জহিরুল ইসলাম – সদস্য, জনাব মমতাজ উদ্দিন মাষ্টার – সদস্য, জনাব আমির হোসেন খান – সদস্য, মাওঃ আবু বকর মোঃ সিদ্দিক সদস্য, জনাব আবুনাঈম মোঃ ওছমান গনি – সদস্য। বিভিন্ন মেয়াদে উপজেলা নির্বাহী পদে বোর্ড কর্তৃক মনোনীত হন। বিগত ১০-০২-২০১০ ইং তারিখ থেকে ১৬-১০-২০২২ পর্যন্ত কমিটির সভাপতি পদে ছিলেন।